মায়ের দোয়া বিদ্যানিকেতন এন্ড হাই স্কুল মায়ের দোয়া বিদ্যানিকেতন এন্ড হাই স্কুল school

আমাদের সর্ম্পৃকে

সুশিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ দেশ ও জাতির বড় সম্পদ। জ্ঞান-বিজ্ঞান, আধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষার সাথে নৈতিক শিক্ষার সংমিশ্রণ ঘটলে মানুষ প্রকৃত শিক্ষিত হতে পারে। বাংলাদেশের ত্রিমুখী শিক্ষা-ব্যবস্থার মধ্যে আলিয়া ধারাই একমাত্র ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা। এতে বৈষয়িক দক্ষতা অর্জনের জন্য বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, আইসিটিসহ সকল বিষয়ের পাশাপাশি ইসলামি জ্ঞানে পারদর্শী হওয়ার জন্য কুরআন, হাদিস, আরবি, আকাইদ ও ফিক্হ এর মতো নৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ শেখানো হয়। ফলে এখানে লেখাপড়া করে আল্লামা ইউসুফ কারযাভী, জাস্টিস তাক্বী উসমানী, ডা. জাকির নায়েক, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, ড. মিজানুর রহমান আজহারী, শায়খ আহমাদুল্লাহ কিংবা উস্তাদ নোমান আলী খাঁন হওয়ার সুযোগ যেমন রয়েছে তেমনি আদর্শবান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস ক্যাডার হওয়ারও সমান সুযোগ বিদ্যমান। নতুন প্রজন্মকে শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতাসম্পন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক, চারিত্রিক, নৈতিক ও আদর্শিক নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা আইডিয়াল সিটিজেন মাদরাসা।

উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
প্রচলিত ও ইসলামি শিক্ষার সমন্বয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মকে নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করে সৎ, যোগ্য, ঈমানদার, চরিত্রবান, চৌকস, দেশপ্রেমিক ও আধুনিক যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মতো আদর্শ নাগরিক তৈরির মাধ্যমে দেশ ও জাতির সেবা করে ইহকালীন সমৃদ্ধি ও পরকালীন কল্যাণ লাভ করা আমাদের উদ্দেশ্য এবং এ উদ্দেশ্য হাসিলের
মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ তথা পরকালীন চূড়ান্ত সফলতা অর্জনই আমাদের লক্ষ্য।

DICM এর বৈশিষ্ট্য:
* এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী, উদ্যমী, সমাজ সেবক, কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত।
* একদল মেধাবী অভিজ্ঞ ও বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার সম্পন্ন শিক্ষকমÐলী দ্বারা পাঠদান।
* ২য় শ্রেণিতেই কুরআনের নাজেরা সম্পন্ন করার সু-ব্যবস্থা।
* হিফয প্রত্যাশীদের ৫ম শ্রেণীতেই হিফয সম্পন্ন করার সু-ব্যবস্থা ।
* আরবি ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষার জন্য বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা।
* সরফ (মিজান ও মুনশাঈব), নাহু (মিয়াতে আমিলসহ) শিক্ষার জন্য বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা।
* হাতের লেখা সুন্দর ও দ্রতকরণে নিয়মিত প্রশিক্ষণ।
* প্রয়োজনীয় মাস‘আলা-মাসায়িল, মাসনুন দু’আ শিখন ও নামাজের বাস্তব প্রশিক্ষণ প্রদান।
* সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের জন্য পৃথক ঈঁষঃঁৎধষ পষঁন.
* সুন্দর, মনোরম, আকর্ষণীয় ও সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নিজস্ব ক্যাম্পাস।
* নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ।
* শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন মুক্ত ক্যাম্পাস।
* নিজস্ব জেনারেটরের মাধ্যমে বিকল্প বিদ্যুত ব্যবস্থা।
* প্রজেক্টরের মাধ্যমে আনন্দঘন পরিবেশে পাঠদান।

শ্রেণী কক্ষে পাঠদান ও শিক্ষা কৌশল:
* ক্লাস শুরুর পূর্বে Assembly -তে শারীরিক সুস্থ্যতা, নৈতিক ও চারিত্রিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে গুরুত্বারোপ করা হয়।
* শিশুদের ধারণ ক্ষমতার দিকে লক্ষ্য রেখে পাঠদান করা হয়। অতিরিক্ত বোঝা চাপানো হয় না।
* শিশুদের স্বাভাবিক অনুসন্ধিৎসা ও কৌতূহলের প্রতি লক্ষ্য রেখে তাদের স্বাভাবিক প্রাণশক্তি ও উচ্ছ¦াসকে ব্যবহার করে আনন্দময় পরিবেশে মমতা ও ভালবাসার সঙ্গে শিক্ষা প্রদান করা হয়।
* শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সার্বক্ষণিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন মুক্ত রাখা আমাদের অঙ্গিকার।
* শিশুদের কাছে শিক্ষাকে সহজ ও আকর্ষণীয় করার জন্য বৈধ ছবি, রঙ, শিক্ষা উপকরণ, মডেল, হাতের কাজের সঙ্গে ছড়া, গল্প, ইসলামি গান ও খেলার মাধ্যমে উপস্থাপনের ব্যবস্থা।
* সিলেবাস ও পাঠ পরিকল্পনা (খবংংড়হ ঢ়ষধহ) অনুযায়ী পাঠদান।
* ক্লাসের শুরুতে পূর্বের দেয়া ঐ.ড. যথাযথভাবে আদায় করা হয়। ক্লাসের পড়া ও ঐ.ড করতে ব্যর্থ হলে সংশোধনী ক্লাসের ব্যবস্থা।
* একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া হয়।

হিফজুল কুরআন বিভাগ:
* অভিজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হাফিজ কর্তৃক পাঠদান।
* প্রচলিত ও আধুনিক পদ্ধতির অপূর্ব সমন্বয়।
* মেধানুযায়ী ২ থেকে ৪ বছর মেয়াদে হিফজ সম্পন্ন করা।
* জাতীয় মানের হাফিজ/ক্বারীগণের দ্বারা নিয়মিত মাশকের ব্যবস্থা।
* দৈনিক ডায়েরি সংরক্ষণ এবং বাৎসরিক লিখিত ফলাফল প্রদান।
* অডিও-ভিজ্যুয়াল পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হাফিজ ও ক্বারী সাহেবদের তিলাওয়াত অনুশীলন।
* জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উপযোগী করে গড়ে তোলা।

নূরাণি ও নাজেরা বিভাগ:
* জেনারেল শ্রেণি কার্যক্রমের পাশাপাশি সহিহ্ কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষার নিশ্চয়তা।
* জীবন ঘনিষ্ঠ প্রয়োজনীয় দু’আ ও মাস‘আলা শিক্ষা দান।
* নির্বাচিত সহিহ্ হাদিস অর্থসহ শিক্ষা দান।
* নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ১ বছরে ৩ পারা সহিহ্ভাবে নাজেরা কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষা দান।
* হিফজ প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যাচের ব্যবস্থা।
* স্বতন্ত্র বিভাগ হওয়া সত্তে¡ও এ বিভাগে ভর্তির জন্য কেবলমাত্র রেজিষ্ট্রেশন ফি ব্যতীত অতিরিক্ত কোন ফি নেয়া হয় না।
* কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্যের জন্য কুরআন শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হয়।

সফলতার চিত্র:
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকা আইডিয়াল সিটিজেন মাদরাসা বরাবরই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে এসেছে। প্রতি বছর বার্ষিক (চূড়ান্ত) পরীক্ষায় অধিকাংশ জিপিএ-৫ এর পাশাপাশি ১০০ ভাগ পাশ করে থাকে। জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে যে সফলতা বয়ে আনে তা সত্যিই ঈর্ষণীয়, যেমন শুধু ২০২৩ সালে বৃত্তি পেয়েছে ৪১ জন। এর মধ্যে ‘দ্যা স্কলার্স ফোরাম’ থেকে ৪ জন বৃত্তি লাভ করেছে। ‘বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন’ থেকে সারা দেশে বৃত্তি লাভ করেছে ১১৮৬ জন, এর মধ্যে শুধু ঢাকা আইডিয়াল সিটিজেন মাদরাসা থেকে বৃত্তি পেয়েছে ৩৭ জন।

ভর্তি সংক্রান্ত নিয়মাবলি:
* নির্ধারিত মূল্যে অফিস থেকে ভর্তি ফরম ও প্রসপেক্টাস সংগ্রহ করত উক্ত ফরম পূরণ করে অফিসে জমা দিতে হবে।
* ভর্তি ফরমের সাথে শিক্ষার্থীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, পূর্বের শ্রেণির নম্বরপত্র/প্রত্যয়নপত্র/ছাড়পত্রের মূলকপি ও জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।
* প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
* দুই সন্তানের ক্ষেত্রে ১ জনের ভর্তি ফি অর্ধেক এবং ৩ সন্তানের ভর্তির ক্ষেত্রে কণিষ্ঠ জনের ভর্তি ফি ফ্রি। তবে টিউশন ফি এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ৩ সন্তানের (কণিষ্ঠ শিক্ষার্থীর) নির্ধারিত টিউশন ফি অর্ধেক ছাড় পাবেন।
* সাধারণত ১ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদনপত্র গ্রহণোত্তর যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভর্তি করা হয়। তবে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে বছরের অন্যান্য সময়ও ভর্তি করানো যাবে।
* প্লে, নার্সারি ও জুনিয়র ওয়ানে ভর্তির জন্য মান যাচাই পরীক্ষা নেয়া হয় না। প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য মান যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা ব্যতীত ভর্তি করা হয় না।
* অস্পষ্ট ও অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য নয়।
* কর্তৃপক্ষ যে কোন আবেদনপত্র বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করেন।
* ভর্তির ব্যাপারে কোন অনৈতিক সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হবে না।
* ভর্তি সংক্রান্ত সকল ক্ষেত্রে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

মাদরাসার নির্ধারিত ইউনিফর্ম:
বালক: হালকা বাদামী রঙের দেশী/বিদেশী টরে কাপড়ের নির্ধারিত ডিজাইনের মাদরাসার লোগো সম্বলিত শেরওয়ানী ও ট্রাউজার (টাকনু গিরার উপর পর্যন্ত), সাদা টুপি, সাদা মোজাসহ সাদা কেড্স।
বালিকা: প্লে-৪র্থ শ্রেণী: হালকা বাদামী রঙের মাদরাসার লোগো সম্বলিত এপ্রোন, একই রঙের সেলোয়ার, চারপাশে নির্ধারিত ডিজাইনের এ্যামব্রয়ডারি বিশিষ্ট হালকা বাদামী রঙের স্কার্ফ, সাদা মোজাসহ সাদা কেড্স।
৫ম-১০ম শ্রেণি পর্যন্ত: হালকা বাদামী রঙের মাদরাসার লোগো সম্বলিত বোরকা, চারপাশে নির্ধারিত ডিজাইনের এ্যামব্রয়ডারী বিশিষ্ট হালকা বাদামী রঙের স্কার্ফ, মোজাসহ সাদা কেড্স। শীতকালে উক্ত ড্রেসের উপরে হালকা বাদামী রঙের সোয়েটার/জ্যাকেট।

শেষ কথা:
বর্তমান সময়ের আকাশ সংস্কৃতির মরণ ছোবল থেকে ফিরিয়ে রেখে সন্তানকে আদর্শবান, দেশপ্রেমিক ও খাঁটি ঈমানদার হিসেবে গড়ে তুলতে মাদরাসা শিক্ষা অনন্য। দেশ ও জাতি গড়ার এই মহান প্রত্যয়ে আপনারাও আমাদের সহযোগী হবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। যেহেতু আমাদের উদ্দেশ্য মহান আল্লাহর সন্তষ্টি, দুনিয়ার কল্যাণ ও আখিরাতের মুক্তি তথা জান্নাত লাভ করা আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। সুতরাং আপনিও পারেন আমাদের উপরোক্ত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সাথে একাত্ম হয়ে আমাদের একজন সম্মানিত অংশীদার হতে। এজন্য কোন অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন শুধু নিখাদ বিশ^াস ও আন্তরিকতার সাথে ঢাকা আইডিয়াল সিটিজেন মাদরাসার জন্য আপনার মূল্যবান পরামর্শ ও সহযোগিতা। ঢাকা আইডিয়াল সিটিজেন মাদরাসার জন্য আপনি যা করবেন তা হলো- আপনি এ মাদরাসাকে যতটা জানেন, যতটা ভালবাসেন, যতটা কল্যাণ ও উন্নতি আপনি কামনা করেন তা আপনার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী ও পরিচিতজনদের বলবেন এবং মাদরাসার উন্নয়ন ও কল্যাণে সার্বিক পরামর্শ দিবেন, ইনশাআল্লাহ। আপনার এই নিঃস্বার্থ আন্তরিকতা, ভালবাসা ও কল্যাণ কামনা তথা মাদরাসার উন্নয়নে আপনার মূল্যবান পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতাকে আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন। মহান আল্লাহ আমাদের এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা কবুল করুন। আমিন।

এখানে নাম লিখুন

এখানে পদবী লেখার জায়গা

সভাপতির বাণী

অন্যান্য বাণী লিখবেন যত খুশি

গুণগত শিক্ষা ও শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ
শিক্ষার্থীকে করবে সমৃদ্ধ, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

স্নেহের শিক্ষার্থী, সম্মানিত অভিভাবক ও প্রিয় সহকর্মী শিক্ষকবৃন্দ, সবাইকে জানাই ইংরেজী নববর্ষ 2023 এর আন্তরিক শুভেচ্ছা , ভালোবাসা ও অভিনন্দন।

সেন্ট জোসেফ্‌স উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা, দক্ষিণ বঙ্গের এক ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। মিশনারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে ১৯৪০ সাল থেকে শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের শুধু পুঁথিগত বিদ্যা ও কাগজি সার্টিফিকেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে না। পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিস এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের জাগরণ ঘটানোর চেষ্টা করে চলেছে। যার ফলস্বরূপ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্ররা আজ দেশের সেনাপ্রধান, নাসার বিজ্ঞানী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, দেশ পরিচালনার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কবি, সাহিত্যিক, আইনজিবি, লেখক, দেশ ও দেশের বাহিরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে তাদের দ্বায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বিদ্যালয়ের প্রতি প্রাক্তন ছাত্রদের রয়েছে অদম্য ভালোবাসা। তাদের এই ভালবাসার টানে সবাই সংঘটিত হয়ে পালন করেছে 75 বছরপূর্তি প্লাটিনাম জুবিলী। করোনাকালীন সময় দুঃখী, অসহায়, অসুস্থ মানুষের পাশে থেকেছে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিবস উদ্‌যাপনে শিক্ষকদের পাশাপাশি থেকে কাজ করে চলেছে। আসছে আগামী 6 জানুয়ারি প্রাক্তন ছাত্ররা পালন করতে চলেছে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। উক্ত অনুষ্ঠানে অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, বর্তমান বাংলাদেশের সেনাপ্রধান উপস্থিত থাকবেন। বিদ্যালয়ের গৌরবগাথা সফলতার ধারাবাহিকতায় 2022 সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিম মাহমুদ রাদ যশোর শিক্ষা বোর্ডের প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

স্নেহের শিক্ষার্থীবৃন্দ,
আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং নিয়মিত অধ্যাবসায় একজন দুর্বল শিক্ষার্থীকেও সবল করে তোলে। বর্তমানের এই আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক যুগে অলস ভাবে সময় অতিবাহিত করার কোনো সুযোগ নেই। পরিবর্তিত কারিকুলাম ও সিলেবাসের ভিত্তিতে সঠিক পদ্ধতিতে পাঠ গ্রহণের ও অনুশীলনের জন্য বিদ্যালয়ের কোন বিকল্প নেই। বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ একদিকে যেমন সুশিক্ষিত অপরদিকে পরিবর্তিত কারিকুলাম ও নতুন শিখন পদ্ধতির উপর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। কাজেই কোনো বিকল্প না ভেবে নিয়মিত বিদ্যালয়ে এসে প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের সান্নিধ্যে পাঠ গ্রহণ করে নিজেদেরকে ভবিষ্যতের জন্য যথার্থরূপে তৈরি করা সম্ভব। এ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের যত শিক্ষার্থী উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে তারা প্রত্যেকেই নিয়মিত ছাত্র ছিল। মনে রাখবে শিক্ষা কোন করুণা নয়, শিক্ষা তোমাদের অধিকার। কাজেই পাঠের কোন বিষয়ে দুর্বোধ্য মনে হলে শিক্ষকগণকে প্রশ্ন করে জেনে নেবে। এ ব্যাপারে আমার শিক্ষকগণ খুবই আন্তরিক।

সম্মানিত অভিভাবকগণ,
আপনাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদটিকে সুন্দর ও কাঙ্ক্ষিত রূপে রুপায়ন করার মানসে আমাদের কাছে অর্পণ করে থাকেন। আর আমরা শিক্ষকগণ আমাদের মেধা, মনন ও আন্তরিকতার সাথে আপনার সম্পদটিকে কাঙ্খিত রূপে রূঁপায়নের চেষ্টা করি। আপনার সন্তান হয়তো বা একজন বা দুজন। আর আমাদের কাজ করতে হয় বিভিন্ন পরিবার ও বিভিন্ন পরিবেশ হতে আগত বৈচিত্র্যময় শিক্ষার্থীদের নিয়ে। এক্ষেত্রে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা ভিন্ন এই কর্মযজ্ঞে সফলতা আনায়ন করা খুবই কষ্টসাধ্য। একজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয় চলাকালীন সময় রাত-দিন 24 ঘন্টার মধ্যে 5 থেকে 6 ঘন্টা বিদ্যালয়ে অবস্থান করে এবং বাকি সময় আপনাদের সাহচর্যে থাকে। কাজেই তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে, বিদ্যালয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, বিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার মানসিকতা সম্পন্ন করে নিয়মিত বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আমাদের সহযোগিতা করবেন। এছাড়া আপনার সন্তান নিয়মিত স্কুল প্রদত্ত বাড়ির কাজ করে কি-না, সবার সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করে কি-না খেয়াল রাখবেন। বিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবেন।

প্রিয় সহকর্মী শিক্ষকবৃন্দ,
সর্বপ্রথম বিগত বছরের বিদ্যালয়ের সকল সফলতার জন্য আপনাদের অবদান কৃতজ্ঞতা চিত্তে স্মরণ করি। আপনারা প্রতিবছর আপনাদের মেধা,মনন,দক্ষতা,অভিজ্ঞতা ও আন্তরিকতার সহিত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের গঠন করে থাকেন। প্রতিবছর শিক্ষাক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন পরিবর্ধন আসে। এসকল পরিবর্তন পরিবর্ধন আপনারা সাদরে গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের যথাযথ শিক্ষাদানে নিবেদিত থাকেন। এবারও সরকার প্রদত্ত নতুন শিক্ষা নীতি ও কারিকুলাম এর উপর আপনারা ইতোমধ্যে দুইবার প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। আশা করি আগামী দিনগুলো নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে সফল ভাবে অতিবাহিত করবেন।

পরিশেষে নতুন বছর ও নতুন শিক্ষাবর্ষ আপনাদের সকলের জীবনকে সমৃদ্ধময় করে তুলুক এই শুভকামনা রইল সবার প্রতি।

আরও পড়ুন

এইচ এম মনির

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক

প্রধান শিক্ষকের বাণী

শিক্ষা মানে শুধু স্কুলের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্ধ পাঠ্য বইয়ের শিক্ষাকেই বোঝাই না।
শিক্ষা মানে প্রতিনিয়ত এই মহা বিশ্বের জ্ঞান ভান্ডার থেকে কিছুনা কিছু জ্ঞান অর্জন করে সেই জ্ঞানকে জীবনে উন্নতির জন্য সঠিক ভাবে প্রয়োগ করাকে বোঝাই।
সাধারণ অর্থে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনই শিক্ষা। ব্যাপক অর্থে পদ্ধতিগতভাবে জ্ঞানলাভের প্রক্রিয়াকেই শিক্ষা বলে।
শিক্ষিত ও মানবীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক গড়ার আবিরাম লক্ষ্যে যে সমস্ত বিদ্যাপীঠ নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার অন্যতম মায়ের দোয়া বিদ্যানিকেতন এন্ড হাই স্কুল
২০১২ সালের ১ জানুয়ারি মায়ের দোয়া বিদ্যানিকেতন এন্ড হাই স্কুল হিসেবে এ প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করে । প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখায় ৩০০জন ছাএ/ছাএী ও ২০ জন্য অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী রয়েছে।
মায়ের দোয়া বিদ্যানিকেতন এন্ড হাই স্কুলের উদ্দেশ্য হলো:
১.শিক্ষার আলো,ঘরে ঘরে জ্বালো।
২.নিরক্ষর থাকব না, দেশের বোঝা হব না।

এইচ এম মনির
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক
মায়ের দোয়া বিদ্যানিকেতন এন্ড হাই স্কুল
কড়াইল বৌ বাজার,বনানী ঢাকা-১২১৩
মোবাইল ০১৯৪১০০০০৪০

আরও পড়ুন
সাম্প্রতিক খবর
Video Gallery

সভাপতির বাণী

এখানে নাম লিখুন

এখানে পদবী লেখার জায়গা

বিস্তারিত

প্রধান শিক্ষকের বাণী

এইচ এম মনির

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক

বিস্তারিত